Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ফোনে আড়িপাতা বন্ধে রিটের আদেশ আজ


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ১১:৩৯ এএম
ফোনে আড়িপাতা বন্ধে রিটের আদেশ আজ

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ ফোনে আড়িপাতা বন্ধ ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এ আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর এই রিট শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আদেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন। পরে ওইদিন আরও শুনানি করে আদেশের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গত ১০ আগস্ট ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে আড়িপাতা প্রতিরোধ নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়। ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট করেন।

রিটে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বিবাদী করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র এবং যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই এটি বন্ধ হওয়া উচিত।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন : এডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, এডভোকেট উত্তম কুমার বনিক, এডভোকেট শাহ্ নাভিলা কাশফি, এডভোকেট ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, এডভোকেট মোহাম্মদ নওয়াব আলী, এডভোকেট মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, এডভোকেট জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না),  এডভোকেট ইমরুল কায়েস ও এডভোকেট একরামুল কবির।

রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করার পাশাপাশি রিটের পক্ষে সুনির্দিষ্ট চারটি আইনি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।

যেখানে বলা হয় :
১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ এর ৩০ (চ) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের দায়িত্ব হল নাগরিকের ‘টেলিযোগযোগের একান্ত গোপনীয়তা  রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।

২) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘নাগরিকের গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। কিন্তু কমিশন সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের বিধান প্রতিপালনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।

৩) অন্তত ২০টি ঘটনা ফাঁসের তথ্য উপস্থাপন করে কমিশনকে আইনি নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও কমিশন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন জবাব প্রদান করেনি।

৪) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ এর ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়িপাতা দন্ডনীয় অপরাধ। যেখানে দোষী ব্যক্তি দুই বছর কারাদন্ড অথবা অনধিক ৫ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। অথচ আজ অবধি কমিশন স্বঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করেনি। 

এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি ফোনে আড়িপাতা বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী। তবে নোটিশ পাওয়ার পরেও ওই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে