Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আবরার হত্যা : পুনরায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০৮:০৩ পিএম
আবরার হত্যা : পুনরায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (৮সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর  মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন।একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪  সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন।

এদিন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর  মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন।  ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের  কৌঁশলি আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠনের সময় কিছু অংশ বাদ গিয়েছিল।আমরা আদালতে বিষয়টি অবহিত করি।আদালত পুনরায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাদ যাওয়া অংশটি অভিযোগ গঠন করেন। আসামি পক্ষ সাক্ষীদের রিকল করবে না বলে জানান। আদালত আসামিদের অত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪  সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন।

এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর  মো. কামরুজ্জামানের আদালত আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষী  শেষে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার (৭ সেপ্টম্বর) দিন ধার্য করেন।

এদিন আসামি ইসতিয়াক আহম্মেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী  দেন রাসেল মিয়া। এছাড়া আসামি  মেহেদী হাসান রাসেলের পক্ষে সাফাই সাক্ষী  দেন তার বাবা রুহুল আমিন, তার আত্মীয় সিদ্দিক মিয়া ও রাজিব  মোল্লা।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস  দেওয়ার  জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে  ডেকে  নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন  নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে  শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও  দোতলার সিঁড়ির করিডোর  থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭অক্টোবর দুপুরে ঢাকা  মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।  শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত আরও ৬ জন রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মেহেদী হাসান রাসেল,  মো. অনিক সরকার, ইফতি  মোশাররফ সকাল,  মো.  মেহেদী হাসান রাসেল,  মো.  মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম  জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির,  মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ,  মো. মনিরুজ্জামান মনির,  মো. আকাশ  হোসেন,  হোসেন  মোহাম্মদ  তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ,  মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা,  মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত,  মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ  সেতু। মামলার তিনজন আসামি এখনও পলাতক আছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও  রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও  শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি। মামলায়  মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ  শেষ হয়েছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে