কক্সবাজারঃ জেলার টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তোলা হয় লিয়াকত আলীকে। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা জবানবন্দি গ্রহণ শেষে লিয়াকত আলীকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি মামলাটির প্রধান আসামি। তার গুলিতেই সিনহা নিহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৭ আইনজীবী এনেও মুক্তি মিললো না প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দদুলালের
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতেই লিয়াকতকে আজ আদালতে তোলা হয়। আদালতের কাছে পুলিশের এই কর্মকর্তা সত্যটাই তুলে ধরেছেন বলে আশা প্রকাশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই লিয়াকত আলীকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে তুলে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, সিনহা হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক ও সিনহা হত্যার প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকত আলীকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়।
এর আগে একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার অপর তিন আসামী এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাজাহান, কনস্টেবল সজীব ও আবদুল্লাহ। এদের মধ্যে ২৬ আগস্ট শাহাজাহান এবং ২৭ আগস্ট সজীব ও আবদুল্লাহ জবানবন্দি দেন।
গত ১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাজাহান, কনস্টেবল সজীব ও আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয়। ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় এই তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ সাত পুলিশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সাতদিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরও সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল র্যাব। আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চারদিনের রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চারদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে গত ২৮ আগস্ট আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আগামীনিউজ/এএইচ