ঢাকা : রাজধানীর ওয়ারীতে শিশু সামিয়া আফরিন সায়মার ওপর চালানো বর্বরতায় আমরা সবাই লজ্জিত। সেজন্য আসামি আদালতের কোনো প্রকার অনুকম্পা পেতে পারে না। তাই তাকে সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করাই যুক্তিসঙ্গত।
সোমবার (৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আবদুল হান্নান রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেন। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি হারুনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরো বলেন, হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো।
এর আগে গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন একই ট্রাইব্যুনাল। মোট ৫৮ দিনে এ মামলার বিচার কাজ শেষ করেন বিচারক।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর হারুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারি জোনাল টিমের প্রধান আরজুন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যায় থেকে সায়মাকে বাসায় না পেয়ে খোঁজ শুরু করে পরিবার। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ভবনের নবম তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতরে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে। পরের দিন ৬ জুলাই তার বাবা আব্দুস সালাম ওয়ারী থানায় মামলা করেন। ৭ জুলাই কুমিল্লা থেকে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়।
আগামীনিউজ/হাসি