রাজশাহীঃ রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা দেয়াই আমার প্রধান অঙ্গিকার। মহানগরবাসী যেন নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, তাদের জানমাল হেফাজতের জন্য আরএমপির সদস্যরা সর্বাত্মক ভূমিকা রাখবে। এই মহানগরীতে থাকবে না কোন কিশোর অপরাধ, ইভটিজিং মুক্ত হবে শহরের পথঘাট। কোন ধরনের বখাটেপনার জায়গা হবে না মহানগরীর মহল্লায়।
রাজশাহী মহানগরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকতে লাগানো হয়েছে ৫০০ সিসি ক্যামেরা। প্রতি মুহূর্ত রাজশাহী মেট্রোপলিটন কমিশনার অফিস থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হচ্ছে। এর ফলে ৫০০ কিশোর গ্যাংকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরী থাকবে অপরাধ মুক্ত এলাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোন প্রকার কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহানগরকে অপরাধের জঞ্জাল থেকে চিরতরে মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে মহানগর পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকের টাকায় সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তাদের পরিবারের ভরন পোষন হয়, আর সেই নাগরিক যদি স্বস্তিতে বসবাস করতে না পারে রাষ্ট্রের কর্মচারি হিসেবে এটা বড়ই লজ্জাস্কর।
একান্ত সাক্ষাতকারে ওইসব কথা বলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার দেশের কৃতি সন্তান আবু কালাম সিদ্দিক। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে রাজশাহী মহানগরের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেয়ার পরদিন থেকেই তিনি অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি কিশোর অপরাধ গ্যাংয়ের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করেছেন। একই সঙ্গে মোবাইল ট্রাকিংয়ের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। মহানগরের দায়িত্ব নেয়ার পর পরই চুরি যাওয়া ১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি হওয়া ৬ লাখ টাকা। গত ২২ জানুয়ারি অপহরণ হওয়া নবজাতককে ৬ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তার মতে, রাজশাহী মহানগরীর যে কোন স্থানে যে কোন অবস্থায়, যে কোন ধরনের আইনশৃংখলার অবনতি ঘটলেই রাজশাহী মহানগর পুলিশ দ্রুত গতিতে সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। সেই হিসেবে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে নির্দেশনা দেয়া আছে। কোথাও কোন প্রকার গাফিলতি নজরে আসলে সেই পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে কুইক এ্যাকশন নেয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
আবু কালাম সিদ্দিক আরও বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশাহ তাকে প্রতিটি কাজে সহযোগিতা করছেন বলে তিনি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তার মতে, অপরাধ মুক্ত এলাকা গড়তে হলে অপরাধ মুক্ত জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও ফজলে হোসেন বাদশাহ এমপি অনেক স্বচ্ছ মনের মানুষ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক রাজশাহী মহানগরকে নাগরিকদের বসবাস উপযোগী নগর গড়ে তুলতে চান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বচ্ছ নগরী উপহার দেয়ার জন্য রয়েছে তার ঐকান্তিক ইচ্ছা। এক্ষেত্রে তিনি আল্লাহ্, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তার সহকর্মীদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন।
আগামীনিউজ/এএস