ঢাকাঃ পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ না হয়, তাহলে সেই নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছেন দেশটির অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
সোমবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নওশেরা জেলায় পিপিপির এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিলাওয়াল বলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছে যে পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় দল নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের (সামরিক বাহিনী) সঙ্গে গোপনে সমঝোতা করতে চাইছে।’
‘যদি তেমন হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে যাবে। পাকিস্তানের জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচন যদি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু না হয়, সেক্ষেত্রে জনগণ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।'
নিজ বক্তব্যে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি পিপিপি চেয়ারম্যান; তবে ‘জনপ্রিয় দল’ বলতে যে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএলএনকে বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে বহু বছর ধরে পিএমএলএন এবং পিপিপি পরস্পরের প্রতিযোগী ও প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময়ে একজোট হয়েছিল পিএমএলএন ও পিপিপি। ইমরানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার পতনের পর পিএমএলএনের নেতৃত্বে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএম) নামের নতুন যে রাজনৈতিক জোট সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই জোটে ছিল পিডিএমও।
সেই সরকারের মেয়াদ শেষ হয় গত ৯ আগস্ট। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পরামর্শে এই দিন পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বিলোপ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই জোটের অস্তিত্ব, ফের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থানে ফিরে যায় পিএমএলএন-পিপিপি।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে পাকিস্তানে।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন/ হিন্দুস্তান টাইমস
এমআইসি