ঢাকাঃ পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ২৬ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা গুলি করে একটি সামরিক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি সামরিক সূত্র এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, সোমবার সকালে একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সেনাদের উদ্ধার করে। সেখানে তখন সেনাসদস্যের সঙ্গে অপরাধী গ্রুপের লড়াই চলছিল। ওই হেলিকপ্টারের ক্রু এবং যাত্রীরা বেঁচে আছেন কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা এসব তথ্য দিয়েছেন তবে সামরিক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। একটি সূত্র বলছে, তাদের ২৩ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন সেনা এবং তিন বেসামরিক জেটিএফ (রক্ষী) রয়েছেন। এছাড়া আরও ৮ সেনা আহত হয়েছেন। জুংগেরু-তেগিনা হাইওয়েতে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ১১ জনের মরদেহসহ আহত ৭ জনকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। ওই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে ভূপাতিত হয়।
দেশটির বিমান বাহিনীর এক মুখপাত্রও এমআই-১৭১ হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি জুংগেরু থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হেলিকপ্টারটি চুকুবা গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়। ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
নাইজেরিয়া এমন একটি দেশ— যেখানে প্রতি সপ্তাহে গোলাগুলি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবেই। আর এসব অপকর্ম করে থাকে উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীরা। যারা স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ নামে পরিচিত।
এসব ডাকাত দুর্গম গ্রাম ও এলাকাগুলোতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি, অপহরণ ও হত্যা করে অর্থ আদায় করে। দেশটির নাইজার, কাদুনা, জাম্ফারা এবং কাটসিনা প্রদেশ এসব ডাকাতের কারণে দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে।
বুইউ