ঢাকাঃ তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আজ বুধবার (৯ আগস্ট) তার আবেদন খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এমন রায়ের ফলে শিগগিরই জামিনে মুক্তি মিলছে না পিটিআইপ্রধানের। ইমরান খানের আইনজীবীর বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে গত শনিবার তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ইমরান খানকে। আদালতের রায়ের পর একই দিন শনিবার তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মাত্র তিন মাসের মধ্যে দু’বার গ্রেপ্তার হলেন তিনি। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইমরান খান।
এখন দুর্নীতির মামলায় ইমরানকে তিন বছরের সাজা খাটতে হবে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে বন্দি আছেন। এরই মধ্যে ইমরান খানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তিনি কতদিন নির্বাচন করতে পারবেন না সেটা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করে দেয়। এ মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। পাকিস্তানে আগামী নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা বলেন, আদালত তোশাখানা দুর্নীতি মামলা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন। সাজা স্থগিতের বিষয়ে আমাদের আবেদন গৃহীত হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের আবেদন গৃহীত না হলেও অ্যাটক কারাগার থেকে ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির ‘এ’ শ্রেণির কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করেছেন আদালত। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কারাগারে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা রাওয়ালপিন্ডির কারাগারে সেগুলো পেতে পারেন ইমরান। তবে অ্যাটক কারাগারে এ ধরনের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না তিনি।
বুইউ