Dr. Neem on Daraz
Victory Day

চাঁদের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নাসার


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ১০:৪২ পিএম
চাঁদের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নাসার

সংগৃহীত ছবি

ঢাকাঃ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সন্ধান ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিস্ট্রেশন অব আমেরিকা (নাসা)। আগামী ১০ বছর পর, ২০৩২ সাল থেকে শুরু হবে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম।

বুধবার সংস্থার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পরের দিন বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার জনস্টোন স্পেস সেন্টারের রকেট বিশেষজ্ঞ গেরাল্ড স্যান্ডার্স বলেন, ‘এতদিন আমরা মহাকাশে কেবল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সংক্রান্ত অভিযান পরিচালনা করেছি। সে সব অভিযানের বিপরীতে এই মিশনটি হবে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক অনুসন্ধানী অভিযান। এই মিশনে আমরা চাঁদের খনিজ সম্পদ, মাটি, পানি পাওয়ার সম্ভাবনা ও সম্ভাব্য অন্যান্য সম্পদগুলো যাচাই করে দেখব। সামনের দিনে চাঁদের অভিযানগুলোতে বাণিজ্যিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করাই এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য।’

 

আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে দ্বিতীয়বার মানব নভোচারী পাঠাতে চায় নাসা। সেই দলে প্রথমবারের মতো অন্তত একজন নারী এবং একজন ট্রান্সজেন্ডার নভোচারী রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। এছাড়াও সামনে সৌরজগত ও মহাকাশে আরও কয়েকটি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে গেরাল্ড স্যান্ডার্স জানান, আগামী অভিযানগুলোর ব্যয় নির্বাহের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতেই চাঁদের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা।

ব্রিসবেনের সংবাদ সম্মেলনে স্যান্ডার্স বলেন,‘চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই অক্সিজেনও নেই। কিন্তু চাঁদের মাটিতে এবং চন্দ্রপৃষ্টে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা থেকে একই সঙ্গে অক্সিজেন ও জ্বালানি— উভয়ই পাওয়া সম্ভব।’


‘কিন্তু সেজন্য আমাদের আগে চাঁদের মাটি ও চন্দ্রপৃষ্ঠের উপাদানগুলোর সম্পর্কে একটি বিশদ ও বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। আমাদের অভিযানের উদ্দেশ্য মূলত সেটাই এবং আশা করছি, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা আমাদের এই মিশনকে সফল করতে এগিয়ে আসবেন।’

জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাঁদে খননকাজ শুরু হবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এই রকেট বিজ্ঞানী বলেন, ‘খুবই সীমিত আকারে এই পরীক্ষামূলক খননকাজ চলবে। আপাতত আমরা কেবল চন্দ্রপৃষ্ঠের উপরিভাগেই অনুসন্ধান চালাব। তবে এই পরীক্ষামূলক খননকাজের ওপরই আমাদের ২০৩২ সালের চুড়ান্ত মিশনের ব্যাপারটি অনেকাংশে নির্ভর করছে।’

এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে