ঢাকাঃ যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পর এমপি পদ থেকে আরও দুজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মাত্র দুই দিনের মধ্যে তিন এমপি সরে দাঁড়ানোয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর যুক্ত হয়েছে বাড়তি চাপ।
এখন তাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই তিন আসনে উপনির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শুক্রবার (৯ জুন) হাউজ অব কমন্স থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা বরিস জনসন। করোনা মহামারির লকডাউনের মধ্যেও জন্মদিনসহ অন্যান্য পার্টি করায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল প্রিভিলিজেস কমিটি। জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, লকডাউনে পার্টি করেও হাউজ অব কমন্সের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন তিনি। তবে এ কমিটি রায় দেওয়ার আগেই সরে গেছেন তিনি।
বরিস জনসনের পর শনিবার এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন নাদিন ডরিস এবং নাইজেল এডামস। তারা সবাই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য।
এ তিনজনের পর যদি আরও এমপি পদত্যাগ করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর চাপ আরও বাড়তে থাকবে। ইতোমধ্যেই বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ডেইসি কপার ও ইডি ডেভি নতুন সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
ডেইসি কপার বলেছেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টি গলে গেছে এবং তাদের অবশ্যই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের স্বাস্থ্যখাত (এনএইচএস) এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হওয়ার পর— এই বিশৃঙ্খল কনজারভেটিভ সরকার নিয়ে, সাধারণ মানুষকে সরাসরি মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, দ্য গার্ডিয়ান
এমআইসি