ঢাকাঃ তাজিকিস্তানে সৃষ্ট ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে চীন ও তাজিকিস্তান সীমান্ত এলাকা। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩৭ মিনিট) সৃষ্টি হওয়া এ কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চীন সীমান্ত থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশটিতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি তাজিকিস্তানে ভূমিকম্পের এই তথ্য সামনে এনেছে। চীনা এই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তাজিকিস্তানে সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে প্রায় ৭.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।
সিসিটিভি আরও জানিয়েছে, ভূমিকেন্দ্রটির কেন্দ্রস্থল ছিল চীনের নিকটতম সীমান্ত থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে এবং জিনজিয়াং অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চলের কাশগড় ও আর্টাক্সে তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এদিকে বার্তাসংস্থা এপির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাজিকিস্তানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চীনের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের কাছে বৃহস্পতিবার সকালে তাজিকিস্তান ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তাজিকিস্তানের মুরঘোব থেকে ৬৭ কিলোমিটার (৪১ মাইল) পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) গভীরে। এই এলাকাটিকে প্রত্যন্ত এবং কম জনবহুল বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
তবে চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল)। অবশ্য বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে ভূমিকম্পের প্রাথমিক পরিমাপ প্রায়শই ভিন্ন হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আরও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।
এরপর গত মঙ্গলবার তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬ দশমিক ৪ ছিল বলে সেসময় জানায় ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সেন্টার।
বুইউ