ঢাকাঃ নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ৭২ আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখরায় যাচ্ছিল ইয়েতি এয়ারলাইনসের ‘৯ এন–এএনসি এটিআর–৭২’ মডেলের উড়োজাহাজটি। চার ক্রুসহ ৭২ জন যাত্রী ছিলেন।উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে সকালে সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়।
প্রথমেই নজরে আসে স্থানীয়দের। প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে উদ্ধারকাজে যোগ দেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নেপালের ২০০ সেনা সদস্য।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রিসভায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। সংশ্লিষ্টদের উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'আমরা আশা করছি আরও মরদেহ উদ্ধার হবে। বিমানটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে।'
উড়োজাহজটির ৫৩ আরোহী ছিলেন নেপালি। এছাড়া পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান এবং দুইজন কোরিয়ান। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের একজন করে আরোহী ছিলেন।
বিমানটি বিধ্বস্তের আগের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একটি বাড়ির ছাদ থেকে করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উড়ে আসা বিমানটি হঠৎ করে একেবারে কাঁত হয়ে পড়ে। তারপরই বিকট শব্দ হয়।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা। শুধু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটই নয়, একাধিক বিদেশি বিমানও সেখানে বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বেশ কয়েকটি গুরুতর বিমান বিপর্যয় ঘটেছে।
গত ৩০ বছরে নেপালে প্রায় ৩০টি প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। পোখারা বিমান দুর্ঘটনার আগে সবচেয়ে সাম্প্রতিক তারা এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়।
বুইউ