ঢাকাঃ আজারবাইজানের সঙ্গে গত কয়েক দিনের সীমান্ত সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার ১৩৫ সেনা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে দুই দেশের সীমান্তে সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৩৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এটি চূড়ান্ত সংখ্যা নয়। এছাড়া বহু সেনা আহত হয়েছেন।
এদিকে, আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরাম তুরুসিয়ান বলেছেন, গতরাত ৮টার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
তবে সংঘর্ষ শুরুর জন্য দুই দেশ পরস্পরকে দায়ী করছে। আর্মেনিয়ার দাবি, আজারবাইজানের উসকানির কারণে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দাবি করে- জেরমুক, গরিস, কাপানসহ আজারবাইজান সীমান্তবর্তী কয়েকটি শহরে শত্রুপক্ষ গোলাবর্ষণ করে। এরপরই জবাব দেওয়া হয়।
একই ভাবে আজারবাইজানও নতুনকরে সংঘর্ষ শুরুর জন্য আর্মেনিয়ার উসকানিকে দায়ী করেছে। সংঘর্ষে আজারবাইজানেরও বহু সেনা নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ককেশাসের প্রতিবেশী আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে ১৯৯০ এবং ২০২০ সালে।
২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের লড়াইয়ে উভয় পক্ষের ৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্তস্থায় এই যুদ্ধের অবসান হয়।
এই শান্তি চুক্তির অধীন আর্মেনিয়া তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখন্ডের একটি অংশ ছেড়ে দিয়েছে এবং মস্কোর তত্ত্বাবধানে প্রায় ২ হাজার রাশিয়ান শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল।
এমএম