ঢাকাঃ প্রবল বন্যায় হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশ ইসলামাবাদের ডাকে সাড়া দিলেও আরও তহবিলের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালমান সুফি। তিনি জানান, জুন থেকে অতিবর্ষণে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।
সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের বহু জায়গা বন্যায় ভাসছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়ো প্রদেশের নদীর তীর ভাঙন দেখা দিয়েছে, লোকালয়ে পানি ঢুকে বহু ঘর-বাড়ি প্লাবিত। এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন হাজারো মানুষ।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে জুনায়েদ খান বলেন ‘আমরা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে যে বাড়িটি তৈরি করেছি তা চোখের সামনে ডুবতে শুরু করেছে। তার মতো এমন অনেকের বাড়ি চোখের সামনে ডুবে গেছে। প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে আরও অনেক কিছু। পাকিস্তান সরকার বলছে, সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্বের সিন্ধু প্রদেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আগ্রাসী বন্যায় হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সালমান সুফি আরও বলেন, 'দেশের এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দরকার। আমরা যখন আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছি, তখনই মারাত্মক বর্ষায় বন্যা আঘাত হানলো'।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, বন্যায় ৩৩ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে পাকিস্তানে বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ২০১০-১১ সালের বন্যার সাথে তুলনীয়। এক দশক আগের সেই বন্যাকে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা অবশ্য ধ্বংসাত্মক এই বন্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।
এমবুইউ