Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নদীর পানি শুকিয়ে ভেসে উঠল ২০টি জার্মান যুদ্ধজাহাজ


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২, ০১:১৮ পিএম
নদীর পানি শুকিয়ে ভেসে উঠল ২০টি জার্মান যুদ্ধজাহাজ

পানিতে ডুবে থাকা জার্মান যুদ্ধজাহাজ। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ তীব্র খরার মুখে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। জার্মানি তার মধ্যে অন্যতম। খরা ও তীব্র তাপদাহের কারণে দেশটির বিভিন্ন নদীর পানি ভয়াবহ আকারে কমে গেছে। দানিউব নদীর পানির স্তর কমে যায় ভেসে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া জার্মান বাহিনীর অন্তত ২০টি যুদ্ধজাহাজ।

শনিবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ খরা দেখা দিয়েছে এবং এতে গত এক শতাব্দীর মধ্যে দানিয়ুব নদীর পানি সর্বনিম্ন স্তরের একটিতে পৌঁছেছে। আর এতেই সার্বিয়ার নদীবন্দর শহর প্রাহোভোর কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া কয়েক ডজন বিস্ফোরক-বোঝাই জার্মান যুদ্ধজাহাজ ভেসে উঠেছে।

টিআরটির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধের সময় সোভিয়েত বাহিনীর তাড়া খেয়ে জাহাজগুলো পিছু হটার সময় সেটি ১৯৪৪ সালে ডুবে যায়। সার্বিয়ার নদী বন্দর শহর প্রাহোভোর কাছে একটি জার্মান যুদ্ধজাহাজের হাল্কের দেখা মেলে।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পূর্ব সার্বিয়ার প্রাহোভোর কাছে দানিউবের একটি অংশে এরকম আরও ২০টি জাহাজের খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে অনেকগুলোতে গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক রয়েছে।

জার্মান জাহাজ সম্পর্কে বইয়ের লেখক ভেলিমির ট্রাজিলোভিক বলছেন, জার্মান ফ্লোটিলা একটি বড় পরিবেশগত বিপর্যয় রেখে গেছে। সেটির প্রকাশ্য উপস্থিতি এই জাহাজ।

এদিকে এই জাহাজের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয় জেলে ও ছোট নৌকার মালিকরা। তাদের ধারণা এসব জাহাজের বিস্ফোরক এখনো কার্যকর থাকতে পারে এবং সামান্য কারণে তা জ্বলে উঠতে পারে।

গত মার্চে সার্বিয়ান সরকার হাল্ক উদ্ধার এবং গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক অপসারণের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করেছিল। এর খরচ ধরা হয়েছিল ৩০ মিলিয়ন ডলার।

ইউরোপজুড়ে তীব্র খরার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি দেশে দাবানল ক্রমশই বাড়ছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন নদীর পানি তীব্র আকারে কমে গিয়েছে। জার্মানির বাণিজ্য পরিচালনার অন্যতম রাইন নদীর পানি কমছে দ্রুত। এর প্রভাবে শিল্পখাতে বাড়ছে বিপর্যয়ের শঙ্কা।

ডারেল অব জার্মান ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডিআই) এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোলগার ল্যোশ জানান, খুব শিগগির পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি এমন দিকে চলে যেতে পারে যখন আর নদীতে পণ্যবাহী যান চালানো যাবে না এবং তার ফলে শিল্পখাতে বিপর্যয় নামবে। 

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে