ঢাকাঃ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য নাগাল্যান্ডে ‘ভুল করে’ সন্ত্রাসবাদী ভেবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ভারতের একটি গ্রামের অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।
রোববার ভোরে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিংয়ে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্রোহী ভেবে সাধারণ শ্রমিকদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে পাল্টা হামলা চালানোরও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এক সেনা সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। ওটিং গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাস রুখতে তিরু-ওটিং রোডে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের ‘ভুল করে’ সন্ত্রাসবাদী ভেবে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে গ্রামের লোকজন মারা যেতে থাকলে উত্তেজনা বাড়ে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য তাদের গুলি চালাতে হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও টুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। একে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ উল্লেখ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে উচ্চপর্যায়ের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
একে দুঃখজনক ঘটনা অ্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যের মুখমন্ত্রী নেফিউ রিও সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। সূত্র: আনন্দবাজার
আগামীনিউজ/নাসির