ঢাকাঃ শহরের জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখন বিশ্বের সবজায়গায় মানুষই চায় শহরে থাকতে। এককথায় মানবসভ্যতা দিন দিন আরও বেশি করে শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। কিন্তু যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ শহরে আসছে, সেই সুযোগ সুবিধাগুলোও তো বজায়ও রাখতে হবে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের উদ্যোগে পালন করা হয় বিশ্ব শহর দিবস।
বিশ্ব শহর দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Adapting Cities for Climate Resilience.’ অর্থাৎ ‘জলবায়ুর স্বাভাবিকতা আনয়নে শহরকে উপযোগী করে তোলা’। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরের বাসিন্দারা বন্যা, ঝড়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো নানান রকমের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
এসব বিষয়কে সামনে রেখেই এবারের বিশ্ব শহর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শহর দিবস-২০২১। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। সভা-সেমিনার করে নগরের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।
তবে কোটি মানুষের শহর রাজধানী ঢাকায় এ দিবসটি পালনে সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। অন্য সেবা সংস্থারও কোনো তেমন কর্মসূচি নেই। তবে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন দিবসটি পালনে নানান কর্মসূচি নিয়েছে।
নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত নগরায়নের ফলে ঢাকায় যানজট, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ, পানি, শিল্প ও শব্দদূষণ বাড়ছে। সবুজায়ন হ্রাস পাওয়ায় নগরে তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে সংক্রামক-অসংক্রামক সব ধরনের রোগ দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নগর জীবনের চাপ, উদ্বেগ প্রভৃতির সামষ্টিক প্রভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি।
একটি বাসযোগ্য নগর ও জনবসতি গড়তে জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শহরের পরিকল্পনা করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ব শহর দিবস উপলক্ষে সিটি করপোরেশন নাগরিক সভা এবং সেমিনার করলে পরিকল্পিত শহর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আগামীনিউজ/নাসির