ঢাকাঃ বিশ্বকাঁপানো ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় মৃতদের স্মরণে তৈরি সৌধে লেখা নীল স্প্রে ব্যবহার করে লেখা-‘তালেবান’। গত শনিবার এ ট্রাজিক দিনটিতে দক্ষিণ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিল শহরের ওই সৌধের সামনে জড়ো হয়ে শহিদ স্মরণে অংশ নিয়েছিলেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। ঠিক তার পর দিন সকালেই ওই দৃশ্য দেখে হইচই শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
দক্ষিণ ক্যারোলিনায় অবস্থিত বিশেষ এই স্মৃতিসৌধ। ৯/১১-র (September 11 Attacks) বর্ষপূর্তিতে আমেরিকার এক হাজারটি ফ্ল্যাগ লাগানো হয়েছিল তাঁর চারপাশে। সেদিন শয়ে শয়ে মানুষ এসেছিলেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের হামলায় যাঁরা প্রাণ হারান, তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি মার্কিন সেনার বীরত্বকেও কুর্নিশ জানানো হয়েছিল।
রবিবার সকালে আচমকা মর্নিং ওয়াকে যাওয়া স্থানীয়দের চোখে পড়ে, বিশাল গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি স্মৃতিসৌধে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে দু’জায়গায় তালিবান শব্দটি লেখা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ। কাছের CCTV ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার তুমুল নিন্দা করা হয়েছে। অনেকের দাবি, আমেরিকাবাসীর ভাবাবেগে আঘাত হানার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
৯/১১- শুনলেই ভেসে ওঠে ভয়াবহ সন্ত্রাসের ছবি। একে একে হামলা হয়েছিল আমেরিকার টুইন টাওয়ারে। সন্ত্রাসের ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। দুই দশক আগে আজকের দিনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলার পরই শোনা গিয়েছিল একটি বিশেষ সংজ্ঞা–গ্লোবাল জিহাদ। সামনে এসেছিল আরও কয়েকটি নাম যেমন-আল কায়দা, ওসামা বিন লাদেন। ওই অভিশপ্ত দিনটির পর থেকেই পালটে যায় বিশ্ব। প্রেষদিয়েন্ট জর্জ বুশের নেতৃত্বে শুরু হয় বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াই। বাকিটা ইতিহাস। ওই হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই দশক। শেষ হয়েছে আমেরিকার ‘মিশন আফগানিস্তান’। ফের ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’র দখল নিয়েছে তালিবান। এদিকে আজও সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। তবে দোহা চুক্তি মেনে আল কায়দাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তালিবরা।