ঢাকা: ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী- আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার বলেছেন, তার দেশের প্রতিরক্ষানীতিতে যেকোনও শত্রুর যেকোনও মাত্রার হঠকারী পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোনও শত্রু ইরানের স্বার্থে বিন্দুমাত্র আঘাত হেনে পার পাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বুধবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে মোতায়েন আইআরজিসি’র নৌসেনাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
তিনি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বাগাড়ম্বরের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ইরানকে হুমকি দিয়ে যারা কথা বলছে বিশেষ করে দখলদার ইসরায়েলের জেনে রাখা উচিত যেকোনও স্থানে যেকোনও মাত্রার হামলার দাঁতভাঙা জবাব দিতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে।
জেনারেল সালামি বলেন, ইরানের স্বার্থে আঘাত হানা হবে অথচ তেহরান তার জবাব দেবে না- এমন দিনের অবসান হয়েছে। ইরানের শত্রুরা যেন আর কোনওদিন সেই দিনগুলো ফিরে আসার স্বপ্নে বিভোর না হয়।
গত সপ্তাহে ওমান সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি তেল ট্যাংকারে অজ্ঞাত হামলা হয় এবং এতে ট্যাংকারটি দু’জন বিদেশি ক্রু নিহত হন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট কোনও তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। এরপর প্রথমে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব ও তারপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেল আবিবের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ওই হামলার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেন। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে এ খবর প্রচার হয় যে, ইরানের স্বার্থে আঘাত হানার জন্য তেল আবিবকে সবুজ সংকেত দিয়েছে ওয়াশিংটন ও লন্ডন।
জেনারেল হোসেইন সালামি দৃশ্যত ওই হুমকির জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও কূটনৈতিক বার্তা পাঠাচ্ছি না বরং আমরা যুদ্ধের কথা বলছি।
” আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার আরও স্পষ্ট করে বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ যারা আমাদের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলেন তাদের প্রতি উপদেশ থাকবে কথাবার্তায় আরও সংযত হোন। ”