ঢাকাঃ ইরানের কারণে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা বিপদের মুখে পড়েছে বলে অদ্ভুত দাবি করেছে ফ্রান্স। এই সমঝোতা থেকে আমেরিকার একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়া এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর এই সমঝোতা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি উপেক্ষা করে দেশটি বলেছে, ইরানের উচিত অবিলম্বে ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় ফিরে যাওয়া।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যাগনেস ভন ডার মুল সোমবার প্যারিসে সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, “ইরান ভিয়েনা সংলাপে ফিরে আসতে যত দেরি করবে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে এই সংলাপ থেকে ফল পাওয়ার আশা তত কমে যাবে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ইরান অবিলম্বে এই আলোচনায় ফিরতে ব্যর্থ হলে বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা আবার সক্রিয় করার ব্যাপারে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এমন সময় এসব কথা বললেন যখন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরমাণু বিষয়ক প্রধান আলোচক সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, ভিয়েনা সংলাপে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোকে ইরানের পরবর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ইরানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি সরকার পরিবর্তিত হচ্ছে; কাজেই এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপর পক্ষগুলোকে অপেক্ষা করতে হবে।
ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপ গত এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে শুরু হয় এবং এ পর্যন্ত ছয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সপ্তম দফা আলোচনায় সমঝোতাটিকে আবার সক্রিয় করার ব্যাপারে পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের একটি চূড়ান্ত চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ইরানের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ক্ষমতা গ্রহণ করা আগ পর্যন্ত ইরানের পক্ষে ভিয়েনা সংলাপে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট রায়িসি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।