ঢাকাঃ ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভি ও আরবি ভাষার নিউজ চ্যানেল আল-আলমসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রশাসনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় ইরানের পক্ষ থেকে পরিচালিত ৩০টির বেশি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
এর মধ্যে ইরান থেকে আরবি ভাষায় প্রচারিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-কাওসার এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের পরিচালিত আল-মাসিরা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটও বন্ধ রয়েছে।
ইরনা জানিয়েছে, এসব ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তিনি মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেল পুলিশ দপ্তর এফবিআইর সিল মারা তথ্যবিবরণী দেখতে পাচ্ছেন।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ না খুললেও মার্কিন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রটি বলেছে, এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।
২০১৫ সালে ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সঙ্গে তেহরানের ওপর আগের সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা বহাল করেন।
আগের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে চুক্তি চায় ওয়াশিংটন। তেহরান তা না মানায় গত চার বছর ধরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
মার্কিন নির্বাচনে পরাজয়ের পর তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেন ট্রাম্প। তবে সিনিয়র উপদেষ্টাদের বিরোধিতার মুখে তা থেকে বিরত হন।
এর পরই ইরানি শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদায়ের আগ মুহূর্তে ট্রাম্পের মদদে এটি ঘটানোর কথাও শোনা যায়।
সম্প্রতি পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ শীর্ষ উপদেষ্টারাও একই ধরনের কথা বলছেন।
তবে তা নিঃশর্ত হওয়ার কথা বারবার বলে আসছেন ইরানি প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সমঝোতায় ফেরার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, আগের শর্ত মেনেই চুক্তিতে ফিরতে হবে ওয়াশিংটনকে।
এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা বা পুনর্মূল্যায়ন সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন আলোচনার পর অনেক শর্তে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করে ছয় জাতি-গোষ্ঠী।