ঢাকাঃ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরে ‘স্টে অ্যাট হোম’ জারি করা হয়েছে। ফলে লোকজনকে এখন বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৃহত্তম শহরটিতে লকডাউন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী নভেম্বরেই মিয়ানমারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই ইয়াঙ্গুনে লকডাউন জারি করা হলো। লকডাউনের আগে সব ধরনের প্রস্তুতির জন্য ইয়াঙ্গুনের ৪০ লাখের বেশি বাসিন্দা ২৪ ঘণ্টাও সময় পায়নি।
আজ সোমবার (২১সেপ্টম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর হয়ে গেছে। লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ বেসরকারি সেক্টরের লোকজনকে বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করতে হবে। অপরদিকে, সরকারি কর্মচারীদের দুই সপ্তাহ অফিসে এবং দুই সপ্তাহ বাড়িতে বসে কাজ করতে হবে।
এর আগেও ওই শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সে সময়ই স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এখনও সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়নি।
মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিন্ট হুয়ে বলেছেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। তবে বিদেশে ভ্রমণ বা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসার ঘটনা ঘটেনি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
নতুন আইন অনুযায়ী, লোকজনকে অবশ্যই বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। তবে খাবার কেনা বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য অবশ্যই বাইরে যেতে পারবেন। কিন্তু বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে বাড়ির একজন সদস্য বের হওয়ার অনুমতি পাবেন। তবে কাউকে ইয়াঙ্গুন শহর থেকে দূরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি সেবা যেমন ব্যাংক, পেট্রোল স্টেশন এবং খাবারের দোকানগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার দেশটিতে ৬৭১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৪১। এর মধ্যে মারা গেছে ৯২ জন।
আগামীনিউজ/জেহিন