ঢাকাঃ কয়েকদিন আগেই দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার। এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন দেশটির জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের (জিএনএ) প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সারাজ।
অক্টোবরের শেষের দিকে পদত্যাগ করতে চান বলে গতকাল বুধবার(১৬সেপ্টম্বর) এক ভাষণে জানান আল-সারাজ।
তিনি বলেন, ‘আমি জানাতে চাই, খুব দেরি হলে আগামী মাসের শেষের দিকে আমি নতুন প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেব।’
গদ্দাফি শাসনের অবসানের পর থেকেই ক্ষমতার যুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ। রাজনৈতিক সংকট, মানবিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় বিপর্যস্ত দেশটি।
টানা লোডশেডিং, পেট্রোল-ডিজেলের মাত্রাছাড়া দাম এবং মানুষের কাছে অর্থের অভাবের কারণে বৃহস্পতিবার দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। যার দরুণ পূর্বাঞ্চলে হাফতার বিদ্রোহী গোষ্ঠী সমর্থিত সরকার পদত্যাগ করে।
তবে ডয়চে ভেলে অনলাইন জানায়, শুধু বিক্ষোভের জন্য পদত্যাগ করছেন না আল-সারাজ। দেশের বিবদমান বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতার মধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পথ তৈরি করতে ক্ষমতা ছাড়ছেন তিনি। এই গোষ্ঠীগুলি ১৮ মাসের মধ্যে ভোট করে নতুন সরকার গঠন করা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
ত্রিপোলি সরকারের প্রধান আল সারাজ বলেন, ‘আশা করছি সংলাপ কমিটি তার কাজ শেষ করবে এবং নতুন প্রেসিডন্সিয়াল কাউন্সিল ও একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।’
২০১১ সালে দীর্ঘ সময়ের শাসক গাদ্দাফির শাসন শেষ হওয়ার পর পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ক্ষমতায় আসে।
আল-সারাজের নেতৃত্বে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে বিভিন্ন দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ক্ষমতায় আসে হাফতার বাহিনী এলএনএ সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার।
পূর্বাঞ্চলের মতো পশ্চিম লিবিয়াতেও ত্রিপোলিসহ অন্য শহরে দুর্নীতি, বিদ্যুৎ সংকট, নিত্যপণ্যে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছিল।
এই বিক্ষোভ নিয়ে আল-সারাজ সরকারের মধ্যে মতবিরোধ সামনে চলে আসে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে সরকার তৈরি করা নিয়ে একমত হয়।
আগামীনিউজ/জেহিন