ঢাকাঃ ভারতে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। দেশটিতে গত বছর দিনে গড়ে ৩৮১ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে এই সময়।
এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে নথিভুক্ত আত্মহত্যার সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ১২৩ জন। প্রতিদিন গড়ে ৩৮১ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।
আগের বছরের সঙ্গে তুলনায় ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আত্মহত্যার প্রবণতা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
গত ২০১৮ সালে ভারতে নথিভুক্ত আত্মহত্যার ঘটনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৬টি। আর ২০১৭ সালে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৭টি। ধারাবাহিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে।
প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার নিরিখে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ০.২ শতাংশ।
এনসিআরবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে আত্মহত্যার হার ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে শহরগুলোতে এই হার ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। সে হিসাবে শহরের মানুষের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
মোট আত্মহত্যার ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশই গলায় ফাঁস দিয়ে। বিষপানে মৃত্যু ২৫ দশমিক ৮ শতাংশের। পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু ৫ দশমিক ২ শতাংশের। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশের।
মোট আত্মহত্যার ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ পারিবারিক সমস্যার কারণে (দাম্পত্য অশান্তি ছাড়া)। বৈবাহিক সমস্যার কারণে আত্মঘাতী ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। সব মিলিয়ে মোট আত্মহত্যার ৫৫ শতাংশই উল্লিখিত এই তিন কারণে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রতি ১০০ আত্মঘাতীর মধ্যে ৭০ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ। যে পুরুষরা আত্মহত্যা করেছেন, তাদের মধ্যে ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশই বিবাহিত। আবার বিবাহিত মহিলা আত্মঘাতীর সংখ্যা ৬২.৫ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে মহারাষ্ট্র শীর্ষে। করোনা মৃত্যুতেও শীর্ষে। আবার আত্মহত্যার শীর্ষেও মহারাষ্ট্র। গত বছরে ১৮ হাজার ৯১৬ জন আত্মঘাতী হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তামিলনাড়ুতে আত্মঘাতী ১৩ হাজার ৪৯৩ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা পশ্চিমবঙ্গে আত্মঘাতী হন ১২ হাজার ৬৬৫ জন।
আগামীনিউজ/এএইচ