ঢাকা : কোভিড-১৯ মহামারী ইউরোপে দ্বিতীয় বারের মতো প্রভাব বিস্তার করেছে। ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর এই প্রথমবারের মতো দেশটিতে এক দিনে ৬ হাজার ১১১ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেক নাগরিকের জনসমক্ষে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে ফ্রান্স সরকার।
করোনার সংক্রমণ বেশি হওয়ায় দেশটির রেড জোন এলাকা বাড়িয়ে ২টি থেকে ২১ অঞ্চলে বাড়ান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসেক্স বলেছেন, তিনি সাধারণ লকডাউন এড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সরকার যদি দ্রুত এর মোকাবিলায় জোরদার ব্যাবস্থা না নেয়া হয় তবে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে।
ফ্রান্সে এ সময় পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩০ হাজার ৫৭৬ জন।
এদিকে, স্পেনেও করোনা সংক্রমণে উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। দেশটির ৬ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের স্কুলে থাকাকালে মাস্ক পরতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্পেনে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৯২ জন এবং মারা গেছেন ২৮ হাজার ৯৯৬ জন।
ব্রিটেনে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৫২২ জন শনাক্ত হয়েছেন, যা মধ্য-জুনের পর এদিনই সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৪১ হাজার ৪৭৭ জন।
সুইজারল্যান্ড, জ্যামাইকা ও চেক রিপাবলিকের নাগরিকদের জন্য ব্রিটেনে প্রবেশ করা মাত্রই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে ভ্রমণ না করতে নাগরিকদের সতর্ক করেছে জার্মানি। দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘করোনা আবার জার্মানিতে সক্রিয় হয়েছে।’ শিগগিরই আরও কঠোর নিয়মের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
করোনার জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যানে, বিশ্বজুড়ে এ সময় পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫২ জন এবং মারা গেছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৪৩ জন। সূত্র : সিএনএন, বিবিসি
আগামীনিউজ/এসপি