ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এখন থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশন (এফডিএ)। এমন সময়ে প্লাজমা ব্যবহারের অনুমোদন পেল যখন দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
এফডিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা ব্যবহারে সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্লাজমা চিকিৎসাকে একটি শক্তিশালী থেরাপি হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন লোকজনকে প্লাজমা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে মৃতের হার ৩৫ শতাংশ কমে যাবে।
যদিও একদিন আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, রাজনৈতিক কারণে ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ ব্যাহত করছে এফডিএ।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমি এটাই খুঁজছিলাম। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। তিনি বলেন, চীনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে করোনা থেকে সেরে উঠেছে এমন ব্যক্তির দেহে এন্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তার দেহ থেকে প্লাজমা নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেয়া হয়। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্লাজমা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত কয়েক মাসের সংগ্রহীত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে প্লাজমা থেরাপি নিরাপদ। ফলে অনেক দেশই ইতোমধ্যেই করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা ব্যবহার শুরু করেছে।
বিশ্বে করোনা মহামারীতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনায় ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে এ ভাইরাসটি।
করোনা জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যানে, এ সময় পর্যন্ত দেশটির করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৬। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৬০৪ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩ জন। সূত্র : ইয়ন
আগামীনিউজ/এসপি