ঢাকা : পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নতুন করে সেনা অবস্থানের কথা জানিয়ে বেইজিং দাবি করছে, এই নতুন সেনা অবস্থানই হবে নিউ নর্মাল বা চূড়ান্ত পদক্ষেপ। এর ফলেই লাদাখে শান্তি ফিরবে বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছে তারা। তবে এ প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না নয়াদিল্লি।
ভারত বলছে, এটা চীনের নতুন পদক্ষেপ।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচটি সেনা স্তরের বৈঠকে সুবিধা করতে না পেরে নতুন করে জটিলতা বাড়াতে চাইছে চীন। নয়াদিল্লি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, কোনভাবেই ভারতীয় সেনারা পিছু হটবে না। কারণ পঞ্চম দফা বৈঠকের পরেও বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরায়নি চীন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের জন্যই ক্রমশ দেশ দুটির সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে।
ভারত বলছে, ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ এ চলে এসেছে চীন। পরে ভারতের চাপে ফিঙ্গার ৫ এ সরলেও সেখান থেকে পুরোপুরি সরে যেতে রাজী নয় বেইজিং।
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তের ডেপসাং ও গোগরা এলাকা খালি করে সরে যাওয়ার কথা ছিল চীনের। কিন্তু সে কথা তারা রাখেনি। একদিকে যখন চীন একাধিকবার ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসছে, তখন নতুন করে সীমান্তে চীনা সেনাদের আনাগোনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চীনের এই দ্বৈত মনোভাবের কড়া সমালোচনাও করেছে নয়াদিল্লি।
উত্তরাখন্ডের লিপুলেখ, উত্তর সিকিমের বেশ কিছু সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। উত্তরাখন্ডের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন লিপুলেখ এলাকায় টহল দিয়েছে চীনের সৈন্যরা। সেখানে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে বেইজিং।
ভারতের সেনা প্রধান এম এম নারাভানে এ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য অরুণাচল প্রদেশ সফর করেছেন। গত ৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার থেকে দু'দিনের সফরে তিনি ঘুরে দেখেন দেশের উত্তরপূর্ব প্রান্তের সীমান্ত পরিস্থিতি। তার সঙ্গে ছিলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ। সূত্র : জি নিউজ
আগামীনিউজ/এসপি