ঢাকা : ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬। আইনটির বিরোধী ও সমর্থক দুই পক্ষের মধ্যে পাথর নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উত্তাল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। বহু জায়গাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে কারফিউ।
এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বুধবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা উচিত। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেজরিওয়াল আরো লিখেন, পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে। সেনা মোতায়েন এবং আক্রান্ত বাকি এলাকাগুলোতে কারফিউ জারি করা প্রয়োজন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে সহিংসতাপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
দিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, কারওয়ালনগরে ও চাঁদবাগে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এসব এলাকায় দাঙ্গাকারীদের ‘শুট অ্যাট সাইট তথা দেখা মাত্র গুলির’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের শুরুর দিন থেকেই রাজধানী নয়াদিল্লি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজপথগুলো পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। সূত্র : পার্স টুডে
আগামীনিউজ/মিজান