Dr. Neem on Daraz
Victory Day

জ্ঞানবাপী মসজিদের বেজমেন্টে পূজা চলবে, রায় হাইকোর্টের


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
জ্ঞানবাপী মসজিদের বেজমেন্টে পূজা চলবে, রায় হাইকোর্টের

ঢাকাঃ ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসিতে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদের বেজমেন্টে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে রাজ্যটির এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

এতে করে মসজিদের বেজমেন্টে পূজা চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট আজ জ্ঞানবাপী মসজিদের সেলারে হিন্দুদের পূজার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বারানসি জেলা আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে।

— NDTV (@ndtv) February 26, 2024
বারানসি জেলা আদালত গত মাসে রায় দিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ সেলারে একজন পুরোহিত পূজা করতে পারেন। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।

দুই দফা শুনানির পর সোমবার হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

জ্ঞানবাপী মসজিদটির বেজমেন্টে চারটি সেলার রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি সেলার পুরোহিতদের একটি পরিবারের দখলে ছিল। তারা সেখানে বাস করত। সোমনাথ ব্যাস নামে ব্যাস পরিবারের একজন সদস্য ১৯৯৩ সালে এটি বন্ধ করে দেওয়ার আগে সেলারে পূজা করেছিলেন।

সেই পরিবারের সদস্য শৈলেন্দ্র পাঠক আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, বংশগত পুরোহিত হিসাবে তাদের এই কাঠামোতে প্রবেশ করতে এবং সেখানে পূজা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। মূলত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরপরই উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশে ৩০ বছর আগে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

তবে গত ৩১ জানুয়ারি জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে ব্যাসজীর ভূগর্ভস্থ কক্ষ বলে পরিচিত স্থানে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দিয়ে বারানসির জেলা আদালত জানায়, প্রশাসনকে এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে পূজার বন্দোবস্ত করতে হবে। কিন্তু নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গভীর রাতে সেখানে পূজা শুরু করার সব ব্যবস্থা করা হয়।

পরে মসজিদের দক্ষিণ দিকের অংশ হিন্দু ভক্তদের জন্য খুলেও দেওয়া হয়। এর পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজেই ‘ব্যাস কা তেখানায়’ গিয়ে পূজা করেন।

এরপর গত ৩১ জানুয়ারির রায়ের পরই সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি। শীর্ষ আদালত আবেদন শুনতে না চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যেতে বলে। এর দু’ঘণ্টার মধ্যে আবেদন জমা পড়ে হাইকোর্টে। সেই আবেদনই সোমবার খারিজ করে দেওয়া হলো।

এর আগে, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) মসজিদটিতে আদালতের নির্দেশ জরিপ পরিচালনা করে। পরে সেখানে হিন্দু দেবতার মূর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানায় এএসআই।

দেশটির এই জরিপসংস্থার প্রতিবেদনে মসজিদটির কাঠামোর কিছু অংশে মন্দিরের স্তম্ভ ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়।

  রাত উদযাপন করা হয়েছে। এ রাতকে ঘিরে দরগাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

শবে বরাতকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতের জাতীয় রাজধানীর দিল্লির চারপাশে বিভিন্ন চেক পোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

চার দশক ধরে কাবার ইমাম শায়খ সুদাইস
মোগল সম্রাট শাহজাহান দিল্লি জামে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে। এ বিশাল ধর্মীয় স্থাপত্যশৈলী নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

সম্রাট শাহজাহান শাহী মসজিদের ইমামতির জন্য বুখারা নগরীর (বর্তমান উজবেকিস্থানের একটি শহর) সৈয়দ আব্দুল গফুর শাহ বুখারিকে নিয়ে আসেন। এবং তাকে ইমাম হিসেবে নিয়োগদান করেন।

সৈয়দ আব্দুল গফুর শাহ বুখারি দিল্লি জামে মসজিদেরর প্রথম ইমাম, তার ইমামতিতে ১৬৫৬ সালের ২৩শে জুলাই প্রথম নামাজ আদায় করা হয়। সম্রাট শাহজাহান তাকে শাহী ইমাম উপাধী প্রদান করেন এবং ইমামত-এ-উজমার উচ্চ পদে নিয়োগ প্রদান করেন।

এরপর থেকে এই পদে বরাবরই বুখারি পরিবারের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মোগল শাসনের ইতি হওয়ার পরও বুখারি পরিবার বংশ পরম্পরায় নিজেরাই জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।

সূচনালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত জামে মসজিদে নামাজের দায়িত্ব পালন করা ইমামরা হলেন- সৈয়দ আব্দুল গফুর শাহ বুখারি, সৈয়দ আব্দুল শাকুর শাহ বুখারি, সৈয়দ আব্দুল রাহিম শাহ বুখারি, সৈয়দ আব্দুল গফুর শাহ বুখারি থানি,  সৈয়দ আব্দুল রেহমান শাহ বুখারি, সৈয়দ আব্দুল কারিম শাহ বুখারি, সৈয়দ মীর জীবন শাহ বুখারি,  সৈয়দ মীর আহমেদ আলী শাহ বুখারি, সৈয়দ মোহাম্মাদ শাহ বুখারি, সৈয়দ আহমেদ বুখারি, সৈয়দ হামিদ বুখারি, সৈয়দ আব্দুল্লাহ বুখারি, সৈয়দ আহমেদ বুখারি।

তবে সাম্প্রতিককালে দিল্লি জামে মসজিদের ইমাম পদ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে দিল্লির ওয়াকফ বোর্ড। বুখারি পরিবার জামে মসজিদকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং এই মসজিদকে পরিবারের সম্পত্তি হিসেবে দেখে বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড। 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে