ঢাকাঃ ভুলে রুশ একটি বিমানে গোলা নিক্ষেপ করে নিজেদের ৬৫ জন যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তায় পুতিন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে কিয়েভগামী একটি রুশ প্লেনকে ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট (মার্কিন এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা) ব্যবহার করে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে।’
‘বিমানটিতে পাইলট ও দুজন ক্রুসহ মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিল এবং এই যাত্রীদের সবাই ছিল ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হয়েছে সম্প্রতি, তার ভিত্তিতেই এই যুদ্ধবন্দিদের নিজ দেশে পাঠানো হচ্ছিল।’
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধ্বংস হওয়া বিমানটির ব্ল্যাকবক্স সম্প্রতি তাদের হাতে এসেছে। সেখান থেকে জানা গেছে যে, এই হামলাটি সচেতনভাবেই চালিয়েছিল ইউক্রেন।
‘হয়তো তারা ভেবেছিল যে উড়োজাহাজের ভেতরে রুশ যাত্রীরা রয়েছে,’ রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এক কর্মকর্তা।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ইউক্রেনের সঙ্গে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দেন।
যুদ্ধের প্রথম দিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষয় পেতে থাকে। গত কয়েক মাস ধরে অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ ও জনবলের ব্যাপক সংকট শুরু হয়েছে ইউক্রেন বাহিনীতে।
সূত্র : আরটি নিউজ
এমআইসি/