ঢাকাঃ বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নির্বাচনী পর্যবেক্ষক’ পাঠাবে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি আবারও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের সমর্থন কামনা করে বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
ডুজারিক বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখেনি। আমি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে এরই মধ্যে যা বলেছি তাই পুনর্ব্যক্ত করছি।’
গত ১৯ নভেম্বর জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে ওই চিঠিটি সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অফিসে পাঠানো হয়। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে চিঠির বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, চিঠিতে জাতিসংঘকে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে অন্য এক বাংলাদেশি সাংবাদিক জানতে চান। এর জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ।’
ওই সাংবাদিক আরও জানতে চান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
স্টিফেন ডুজারিক বলেন, প্রথমত ঐতিহাসিক ইভেন্ট এবং এসব ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমি বলব, অনেক আগে ঘটে গেছে এমন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। এছাড়া কোনো ঘটনাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করা মহাসচিবের কাজ নয়। এটা বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।
এমআইসি/