ঢাকাঃ অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নিহত ফিলিস্তিনির নাম সারি ইউসেফ আমর। তার বয়স ২৫ বছর। আজ তিনি হেবরনের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
আমর হেবরনের দক্ষিণে ডুরাতে একটি অভিযানের সময় আহত হয়েছিলেন। ওয়াফা তার বাবার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, আমর এবং তার ভাই সুহাইবকে আটক করার আগে ইসরায়েলি বাহিনী তার বাড়িতে গুলি চালায়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে একজন কিশোর নিহত হয়েছে।
অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৭ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু এজেন্সি
এমআইসি/