ঢাকাঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস।
আল-শিফা হাসপাতালকে হামাস রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসছিল বলে যে তথ্য দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), তা ও পুরোপুরি ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী।
বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আল-শিফা হাসপাতলে সামরিক অভিযানের জন্য দখলদার শক্তি ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণভাবে দায়ী। আল-শিফা হাসপাতালকে হামাস সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে— ইসরায়েলের এমন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই হাসপাতালে অভিযান চালানোর জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে পেন্টাগন; আর তার ফলাফল চলমান এই অভিযান।’
গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় হামাসের গোপন কমান্ড সেন্টার রয়েছে— অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি স্থলবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ২ টা থেকে শুরু হয় এই অভিযান।
উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক ডা. মুনির আল বুর্শ বলেছেন, অভিযান শুরুর এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন তার সঙ্গে। তারা বলেছিলেন, আর কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু হবে।
হাসপাতালটিতে এখনও ৬৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছেন অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি, যারা ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়াও হাসপাতালটির ১ হাজারেরও বেশি ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী বর্তমানে আটকা পড়েছেন সেখানে।
জ্বালানি ও ওষুধ সংকটের কারণে আল শিফা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দু’দিন আগেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন রোগীদের মৃত্যু শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে হাসপাতাল চত্বরে ১৭৯ জন রোগীকে দাফন করা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
এমআইসি