ঢাকাঃ ভারতের উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে হিন্দু ধর্মের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম ও পরবর্তী সময়ে বিয়ে করায় শওকত নামক এক যুবকের মা-বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সীতাপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) চক্রেস মিশ্রা জানিয়েছেন, নিহত স্বামী-স্ত্রীয় নাম আব্বাস ও কামরুল নিসা। ২০২০ সালে আব্বাসের ছেলে শওকত পাশের বাড়ির রুবি নামের এক হিন্দু মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। ওই সময় আব্বাসের ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে মেয়ের পরিবার। ওই মামলায় শওকতকে গ্রেফতার করে জেলেও পাঠিয়েছিল পুলিশ।
কয়েকদিন জেল থেকে ছাড়া পায় শওকত। সেসময় তার পরিবারের উপর হামলার পরিকল্পনা করে রুবির পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যানুযায়ী, শওকত ও প্রতিবেশি রামপালের মেয়ে রুবির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শওকত ২০২০ সালে অপ্রাপ্তবয়স্ক রুবিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শওকতকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর চলতি বছরের জুনে আবারও রুবিকে নিয়ে পালিয়ে যায় শওকত। পরে তারা বিয়ে করে। আর এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই শওকতের মা-বাবাকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে রুবির পরিবারের সদস্যসহ আরও কয়েকজন প্রতিবেশী।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, রুবির পরিবারের আশঙ্কা ছিল, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শওকত আবারও তাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে ওই যুবককে ভয় দেখানোর লক্ষ্যে তার মা-বাবার উপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। কিন্তু মারের চোটে তাদের মৃত্যু হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই তরুণীর বাবাসহ পাঁচ অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রধান তিন অভিযুক্তকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
বুইউ