ঢাকাঃ ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের হামলায় রাশিয়ার এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আরও তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ইউক্রেন শনিবার গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে গোলার আঘাতে আহত সাংবাদিকদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএর সাংবাদিক রোস্তিস্লাভ ঝুরাভলেভ মারা গেছেন।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুচ্ছবোমা ব্যবহার করে হামলার অভিযোগ আনলেও এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ সরবরাহ করেনি মস্কো। আর এই অভিযোগ স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ক্লাস্টার বোমা পেয়েছে ইউক্রেন। তবে এই অস্ত্র কেবল শত্রু পক্ষের সৈন্যদের ছত্রভঙ্গ করে দিতেই ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিয়েভ।
বিশ্বের অনেক দেশে গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধ রয়েছে। একবার একটি বোমা ছোড়া হলে তা বৃষ্টিপাতের মতো বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেসামরিক মানুষের জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়। কিছু বোমা তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যর্থ হলেও কয়েক বছর তা বিস্ফোরিত হতে পারে।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার কনস্ট্যান্টিন কোসাচিওভ বলেছেন, ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার একেবারে ‘অমানবিক’ এবং এর দায় ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের ওপরই বর্তায়। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের একটি দলের নেতা লিওনিদ স্লুটস্কি ইউক্রেনের এই হামলার ঘটনাকে ‘দানবীয় অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এক টুইটে বলেছেন, মার্কিন জনসাধারণ তাদের দেশ ভেঙে পড়া দুর্নীতিগ্রস্ত কিয়েভের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে বাঁচানোর নিরর্থক প্রচেষ্টায় সব ধরনের নীতি-নৈতিকতার সীমা কীভাবে অতিক্রম করছে, সেটি নিয়ে তাদের ভাবনায় আমি অবাক হয়েছি।
সূত্র: রয়টার্স।
এমআইসি