ঢাকাঃ টানা ৩ দিনের প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ জন এবং নিখোঁজ অবস্থায় আছেন আরও ৩ জন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি নিশ্চিত করেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদেন আরও বলা হয়েছে, অতিবর্ষণ-বন্যা-ভূমিধসে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং অবকাঠামোগতভাবে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে শুক্রবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় প্রদেশ উত্তর চুংচেওংয়ের বড় একটি বাঁধের পানি উপচে পড়ে বন্যা শুরু হয় রাজধানী সিউলসহ আশপাশের শহরগুলোতে। এছাড়া গোয়েসানসহ দেশের আরও কয়েকটি বাঁধ, নদী-জলাশয় উপচে পড়ার কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে দেশটির বেশিরভাগ এলাকায়।
স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে শনিবার ভোর থেকে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭ হাজার জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা।
তবে বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখনও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
শুক্রবার উত্তর চেংচেওং এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের কারণে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। সৌভাগ্যবশত ট্রেনটিতে কোনো যাত্রী না থাকায় প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে রেলের ড্রাইভার সামান্য আহত হয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে রেল যোগাযোগ স্থগিত করেছে কোরেইল।
বন্যার কারণে আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজে আরও গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু সেনাবাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুইউ