ঢাকাঃ জাপানের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ দ্বীপ হোক্কাইডোতে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে হোক্কাইডো। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটের দিকে হোক্কাইডোর দক্ষিণ উপকূলের চিটোসে এবং অন্যান্য অংশে অনুভূত হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কিয়োডো নিউজ বলছে, ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ হোক্কাইডোর উরাকাওয়ার ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। এর ফলে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তৃত অঞ্চলও কেঁপে উঠেছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের কারণে হোক্কাইডোর তোমারি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও আওমোরির পারমাণবিক জ্বালানি স্থাপনা ও পারমাণবিক স্থাপনায় কোনও অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
তবে হোক্কাইডো রেলওয়ে কোম্পানি স্থানীয় কিছু ট্রেন চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে। সাপোরোতে পাতাল রেলের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পূর্ব জাপান রেলওয়ে করপোরেশন ও হোক্কাইডো রেলওয়ের মতে, হোক্কাইডো, তোহোকু, জোয়েৎসু এবং হোকুরিকু শিনকানসেন লাইনে বুলেট ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
২০১১ সালের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা ছিল এই দাইচি পরামাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় জাপানে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। এ কারণে দেশটির অবকাঠামো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন প্রচণ্ড কম্পনেও ভবনের কিছু না হয়। ভবন নির্মাণ আইন মানা হচ্ছে কি না, মহড়ার মাধ্যমে তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।
বুইউ