ঢাকাঃ আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে চার শিশু, যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১২ মাস। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, দুর্ঘটনার ৪০ দিন পরে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে চারজনকেই।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো জানিয়েছেন, একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুদের শুক্রবার কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের সীমান্তের কাছ থেকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। সেখানে ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, একটি সেসনা-২০৬ মডলের বিমান আমাজনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের মধ্যে একটি রুটে সাত জনকে নিয়ে যাচ্ছিল। গত ১মে ভোরে ইঞ্জিনের ব্যর্থতার কারণে সতর্কতা বার্তা পাঠায় বিমানটি। পরে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার ফলে পাইলটসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা যান এবং তাদের মৃতদেহ বিমানের ভেতরে পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১৩, ৯ এবং ৪ বছর। এছাড়া এক শিশুর বয়স ১২ মাস।
কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর শেয়ার করা ছবিগুলোতে জঙ্গলের মাঝখানে চার শিশুর সঙ্গে একদল সৈন্যকে দেখা গেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, 'পুরো দেশের জন্য একটি আনন্দ! কলম্বিয়ার জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া চারটি শিশু জীবিত উদ্ধার হয়েছে।'
পেট্রো প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন যে, ১৭মে টুইটারে এক বার্তায় শিশুদের পাওয়া গেছে বলে জানান। তবে সেই তথ্য নিশ্চিত ছিল না। পরে পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়।
পেট্রো শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, শিশুরা জঙ্গলের মাঝখানে একা নিজেদের রক্ষা করেছিল। তারা একসাথে ছিল। তারা দুর্বল।'
উদ্ধারকারীরা, অনুসন্ধান কুকুরের মাধ্যমে শিশুদেও খাওয়া ফল ও জঙ্গলের গাছপালা দিয়ে তৈরি আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিল। কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিমান ও হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
এর আগে গত ১৭ মে এই শিশুদের জীবিত উদ্ধার করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে সেই সংবাদ সঠিক ছিল না। পরে প্রেসিডেন্ট টুইটটি মুছে ফেলেন। এর আগেই টুইটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বুইউ