Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে ঢাকা


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ১১:২৪ এএম
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে ঢাকা

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের সব শহরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ঢাকা। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে এমন খারাপ অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। স্বাভাবিকের চেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় অনেক বেশি স্কোর নিয়ে সবাইকে পেছনে ফেছে মেগাসিটি ঢাকা।

মঙ্গলবার শীর্ষে ছিল উজবেকিস্তানের তাসখন্দ শহর। একদিন না যেতে আবার বুধবার (২৫ জানুয়ারি) তালিকায় আবার প্রথম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩১৯। তাসখন্দের স্কোর ২২৯। তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই (১৮৩)।

প্রতিনিয়ত দূষিত শহরের তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান।


প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

এমন খারাপ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যও পরামর্শ উল্লেখ করা হয় ওয়েবসাইটে।

একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্যসতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। 

এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ মানুষকে বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সকালে তালিকায় একিউআই স্কোর ১৭৭ নিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন চতুর্থ আর পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের স্কোর ১৭১। 

একিউআই স্কোরে এরপরেই আছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা (১৭০), সপ্তমে আছে দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি (১৭০)।

বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫।

এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

২০২১ সালে ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তনের পর জানায়, পিএম-২.৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুকণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে এরচেয়েও কম ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। শহরটির বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন স্থাপনার ধুলো। জীবাশ্ম জ্বালানি দহন, বায়োমাস পোড়ানো, চলাচলের অনুপযোগী যানবাহন থেকে নির্গমন, ইটভাটা এবং ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের ফলে বাংলাদেশের শহরগুলোর দূষিত বায়ুর মান প্রায়ই বৈশ্বিক গণমাধ্যমের শিরোনামে আসে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে