ঢাকাঃ আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের শহর হেরাতে একটি মিনিবাসের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ জানুয়ারি) হেরাতের প্রাদেশিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হেরাতের তালেবান কমান্ডার মাওলাইয়ি আনসারি বলেন, বিস্ফোরণে অন্তত নয় জন আহত হয়েছেন। হেরাতের গোয়েন্দা অফিস থেকেও বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা অফিসের এক মুখপাত্র সাবিত হারভি বলেন, একটি যাত্রীবাহি গাড়ির জ্বালানি ট্যাংকের সঙ্গে বোমাটি সংযুক্ত করা ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটে।
হেরাতের প্রাদেশিক পুলিশ ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি জানিয়েছে। তবে এ হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।
গতবছর ১৫ আগস্ট তালেবানের কাবুল দখল ও সরকার গঠনের পর দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে গতবছর ৩১ আগস্ট সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। কিন্তু সেসময় থেকে দেশটির জনসমাগমস্থলে বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। এরকম বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান আঞ্চলিক শাখা, আইএসকেপি (আইএস-কে)
আইএস-কের বিরুদ্ধে দেশটির শিয়া হাজারা সম্প্রদায়কে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবারের যে এলাকায় একটি বাস স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানেও এই সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। হেরাত দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং এটি ইরানের সীমান্ত লাগোয়া শহর।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ক্ষমতার পালাবদলের পর গভীর সংকটে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভঙ্গুর অর্থনীতির আফগানিস্তানে নানাবিধ সংকট বিরাজ করছে। তালেবান সরকার গঠন করলেও এখনো মিলেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেশটির তালেবান সরকারের অনেক নেতা এখনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।সূত্র: আল-জাজিরা
আগামীনিউজ/নাসির