ঢাকাঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকার স্থলভাগে আঘাত হানে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে জেলেদের একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুই জেলে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রাণহানি এড়াতে ওড়িশা উপকূল থেকে অন্তত ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূল এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ উপকূলীয় ওড়িশায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনম ও ওড়িশার গোপালপুর অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে আগামী দুইদিন তেলেঙ্গানায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করেছে। আপাতত উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অঞ্চলে অবস্থান করছে গুলাবের কেন্দ্র। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৫ কিলোমিটার। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমতে পারে।
ঝড়ের কেন্দ্র বা চোখ যে এলাকা দিয়ে উপকূলে উঠে এসেছে, সেই কলিঙ্গপত্তমে ৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ১ হাজার ১০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার এবং গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।