ঢাকাঃ সংঘাতের দিকে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া-ব্রিটেন। ক্রিমিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগর এলাকায় ব্রিটেনের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া। জাহাজ লক্ষ্য করে ছুঁড়েছিল গোলাও। এবার ভূমধ্যসাগরেই নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করল মস্কো। হাইপারসনিক মিসাইলবাহী যুদ্ধবিমান চক্কর কাটছে ভূমধ্যসাগরের আকাশে। পুতিনের দেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। তাদের কথায়, কৃষ্ণসাগরের উত্তপ্ত হাওয়া এবার ভূমধ্যসাগরে এসেও পড়ল।
শুক্রবার থেকে ভূমধ্যসাগর এলাকার পূর্বাংশে যুদ্ধবিমানের মহড়া শুরু করল রাশিয়া। উল্লেখ্য, ব্রিটেন ও তার সহযোগী দেশের যুদ্ধজাহাজও হাজির হয়েছে এই এলাকায়। চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রিটিশ এবং মার্কিন ইউএস-৩৫ ফাইটার জেট উড়ে এসেছে ভূমধ্যসাগরীয় সংলগ্ন সিরিয়ায়। মূল লক্ষ্য, ISIS জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ২০১৫ সাল থেকে সিরিয়ায় রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সিরিয়া প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটেন-রাশিয়ার মধ্যে চাপানউতোর বাড়ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাইপারসনিক মিসাইলবাহক মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে। এই প্রথমবার রাশিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে মোতায়েন করা হল কিনঝাল হাইপারসনিক মিসাইল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিনঝাল মিসাইলের পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার। শব্দের বেগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিবেগ সম্পন্ন এই মিসাইল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার লাটাকিয়া সেনাঘাঁটিকে কেন্দ্র করে ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন এলাকায় মহড়া চালাবে এই যুদ্ধবিমান।