ঢাকাঃ ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা নেবেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি এ টিকা নেবেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। খবর দ্য মেইলের।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতিমধ্যে টিকাটির জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে সেখানে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে পারে।
৯৪ বছর বয়সী রানি এলিজাবেথ ও তার স্বামী ৯৯ বছর বয়সী প্রিন্স ফিলিপ তাদের বয়সের কারণে শুরুতেই টিকা পাচ্ছেন।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনার টিকা সোমবারের মধ্যেই ব্রিটেনের হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে যাবে।
মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে রোগীদের প্রয়োগ করা। শুরুতে এ টিকা অশীতিপর ব্যক্তি, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বাড়িতে রোগীদের দেখভাল করেন এমন ব্যক্তিকে দেয়া হবে। খবর স্কাই নিউজের।
তার পর বিভিন্ন প্রান্তের ক্লিনিকে প্রতিষেধক বিতরণ করা হবে, যাতে প্রয়োজন বুঝে সাধারণ মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করা যায়। তবে টিকা দেয়া শুরু হতে চললেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তাদের প্রতিষেধক কতটা কার্যকরী, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা।
ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত ১৭ লাখ ১০ হাজার ৩৭৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনার প্রকোপে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ হাজার ১১১ রোগী।
এ মুহূর্তে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের কোটায় ঘোরাফেরা করছে। এমন পরিস্থিতিতে সামনে থেকে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন যারা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল। তাই জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইজারের তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে ফাইজারের প্রতিষেধক প্রয়োগে গত সপ্তাহেই ছাড়পত্র দেয় ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ঠিক হয়, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) তত্ত্বাবধানে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গোটা বিশ্বে যখন প্রতিযোগিতা চলছে, সেই সময় ব্রিটেনই প্রথম দেশ, যারা জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরু করে দিল।
প্রথম সপ্তাহেই ব্রিটেনে আট লাখ ডোজ পৌঁছে যাবে বলে জানা গেছে। বেলজিয়াম থেকে ইতিমধ্যে প্রতিষেধক আসতেও শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদে সেগুলো মজুদ করে রাখা হচ্ছে।
তবে নিরাপদে প্রতিষেধক মজুদ রাখায় বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। কারণ ফাইজারের তৈরি প্রতিষেধকটি -৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজন। সাধারণ যে রেফ্রিজারেটর, তাতে মোটে পাঁচ দিন রাখা যায় ওই প্রতিষেধক।
অন্যদিকে শনিবার থেকে ‘স্পুটনিক-ভি’ প্রতিষেধকের প্রয়োগ শুরু করছে রাশিয়া। চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হলেও মস্কোর ৭০টি ক্লিনিকে প্রতিষেধক পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে সেখানে।
আগামীনিউজ/প্রভাত