ঢাকা : তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এলিস ফাখফাখ বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদের কাছে পদত্যাপত্র জমা দিয়েছেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাউকে মনোনয়ন দেবেন প্রেসিডেন্ট সাইদ। নতুন সরকার গঠনের জন্য দুই মাস সময় পাবেন এবং সংসদের মাধ্যমে তা পাস করাতে হবে।
ফাখফাখ গত অক্টোবর মাসে নির্বাচনের পর সংসদের বৃহত্তম দল এন্নাহদার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
মিডলইস্টআই এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০৫ জন সংসদ সদস্যের একটি দল তার নেতৃত্বে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করার পর তিনি এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আর না বাড়ানোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এদিকে, ফাখফাখের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও তুলেছে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা। গত অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করে এন্নাহদা।
এন্নাহদা একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করলেও তিনি সংসদের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হন। এভাবে টানা চারমাস নানা টানাপোড়েনের পর সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফাখফাখকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু, সম্প্রতি তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেসরকারি কোম্পানিতে থাকা তার শেয়ার হস্তান্তরে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। ফাখফাখ ক্ষমতায় থাকতেই ওই কোম্পানিটি সরকারি কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।
তবে, এক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেছেন ফাখফাখ। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
আগামীনিউজ/এসপি