করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা দুইশ’ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ভয়াবহ এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ২১৩ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় নয় হাজার।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মৃতের সংখ্যা নিয়ে এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
হুবেই প্রদেশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরো ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহান শহরে মৃতের সংখ্যা ২০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি বন্য প্রাণীর বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। আর সেখানেই এই ভাইরাসের ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করার পর গত সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রদেশটির সঙ্গে অন্য এলাকার সব ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে সেখানকার প্রায় ৬ কোটি মানুষ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে নাগরিকদের চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। অনেক এয়ারলাইনস চীনে যাওয়া-আসার ফ্লাইট কমিয়ে দেয়া ও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীন ছাড়াও এখন পর্যন্ত ১৬টি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বৈঠকে বসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি। জেনেভায় এক জরুরি বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। খবর সিএনএন, আল জাজিরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইসাস বলেন, ‘এই ঘোষণার মূল কারণ শুধু চীনে কী হচ্ছে তা নয় বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশে কী ঘটছে সেটাও দেখতে হবে। তিনি বলেন, উদ্বেগের আরেকটি কারণ হলো এই ভাইরাস দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে।
আগামীনিউজ/ হাসি