ঢাকাঃ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আজ শুক্রবার রায় দেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। রায়টি হবে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায়। সংস্থাটির এক্স অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে অবশ্য আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেখানে তেল আবিবের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনে দেশটি। খবর রয়টার্সের।
রায়ে জরুরি আদেশ দিয়ে এই ধ্বংসলীলা থামানোর প্রত্যাশা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিসপিন ফিরি এক্সে এক পোস্ট বলেছেন, আদালত কখন এ রায় ঘোষণা করবেন, তা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ নেই।
মামলায় শুনানি শুরু হয় গত ১১ জানুয়ারি। যদিও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘ইসরায়েলকে ধ্বংসের’ আহ্বান জানাচ্ছে। একইসাথে দেশটির গণহত্যার দাবির ‘বাস্তব ও আইনগত ভিত্তি’ উভয়ই নেই বলে মন্তব্য করেছে দেশটি।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সামনে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ। এ আদালতেই চলছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি। ছবি: রয়টার্স
অন্যদিকে আইসিজে-কে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে ‘আসন্ন অপূরণীয় ক্ষতির হাত থেকে’ রক্ষা করার জন্য ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইসরায়েল ১৯৪৮ সালে গণহত্যার বিরুদ্ধে যে কনভেনশন হয়েছে সেটির স্বাক্ষরকারী দেশ। এতে গণহত্যাকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলিকে এটি প্রতিরোধে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকোর্টের আইনজীবী টেম্বেকা এনগকুকাইতোবি আইসিজে-এর আদালতে বলেন যে, ‘সামরিক হামলা চালানোর ধরণ দেখেই ইসরায়েলের ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে গাজাকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রটির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।’
যদিও গাজায় সামরিক হামালাকে প্রথম থেকেই ‘যুক্তিযুক্ত’ বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে এই আক্রমণ করছে তারা।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত এই আদালত দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটাতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। আইসিজের দেওয়া সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে তা মানার জন্য কোনো দেশের ওপর খুব কম শক্তিই খাটাতে পারেন এই আদালত। তবে এর মতামত জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।
এমআইসি/