ঢাকাঃ তাইওয়ান প্রণালীতে টহলের জন্য নিজেদের যুদ্ধজাহাজ (ডেস্ট্রয়ার) ইউএসএস জন ফিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। বুধবার যুদ্ধজাহাজটি প্রণালীতে পৌঁছেছে।
গত ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; তারপর এই প্রথম তাইওয়ান প্রণালীতে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নৌবাহিনী এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সমুদ্রে প্রতিটি জাতির জাহাজ ও নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো জাতি যদি এ ইস্যুতে অপর কোনো জাতিকে বাধা দেয় বা ভয় দেখায়— তাহল তা কখনও যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেবে না। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইউএস জন ফিন ডেস্ট্রয়ারটি পাঠানো হয়েছে।’
তাইওয়ান প্রণালীর একপাশে চীন, অপর পাশে স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপভূখণ্ড তাইওয়ান। এই দ্বীপ ভূখণ্ডটি নিজেদের স্বাধীন দাবি করলেও চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচনা করে আসছে।
এ ইস্যুতে ৭ দশক ধরে টানাপোড়েন চলছে বেইজিং এবং তাইপের মধ্যে। তবে গত চার বছরে তা আরও তীব্র হয়েছে। এই সময়সীমায় প্রায় নিয়মিতই তাইওয়ানের জল ও আকাশসীমায় যুদ্ধজাহাজ-যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে বেইজিং। গত সপ্তাহেও ‘জয়েন্ট কমব্যাট রেডিনেস পেট্রোল’ মহড়ার সময় তাইওয়ানের আকাশসীমা-জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে চীনা যুদ্ধবিমান-যুদ্ধজাহাজ।
এই নিয়ে বেইজিং-তাইপের মধ্যে নতুন উত্তেজনা দানা বেঁধে ওঠার আগেই সেখানে যুদ্ধজাহাজ পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন ভূখণ্ড বলে দাবি করলেও বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সেই স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র নিজেও ‘এক চীন’ নীতির সমর্থক। তবে চীন এবং তাইওয়ানের দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত তাইওয়ানের পক্ষ নেয়। ১৯৬০ সালের এক চুক্তির আওতায় এই দ্বিপভূখণ্ডকে নিয়মিত সমরাস্ত্রও সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট হয়েছে চীন। বুধবার মার্কিন নৌবাহিনী বিবৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি পাল্টা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে একের পর এক উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
সূত্র : রয়টার্স
এমআইসি/