ঢাকাঃ সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ডাকডাকগো। ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা অর্থাৎ প্রাইভেসি বজায় রাখাই এই সার্চ ইঞ্জিনের মূল লক্ষ্য।
গত ১১ জানুয়ারি প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন সার্চের মাইলফলক পার করে এই নতুন সার্চ ইঞ্জিন। এখন প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন লোক ডাকডাকগো এই সার্চ ইঞ্জিনেই খুঁজে নিচ্ছে পছন্দের বিষয়বস্তু।
ডাকডাকগো সার্চ ইঞ্জিন পেনসিলভ্যানিয়ার একটি সংস্থা। তাদের কথায়, মানুষই তাদের এই সাফল্য দিয়েছে। যেহেতু বর্তমানে চারপাশে বিভিন্ন ওয়েব মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নয়ছয় হচ্ছে, তাই এখন মানুষের ভরসাযোগ্য হয়েছে এই সার্চ ইঞ্জিন।
দৈনন্দিন সার্চের ক্ষেত্রে ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পেরোনোর পর এখন গুগলের পরেই রয়েছে এই সার্চ ইঞ্জিনের অবস্থান। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমশ বাড়ছে ডাকডাকগোর ব্যবহার। গুগল ক্রোমের পর অ্যানড্রয়েডের ক্ষেত্রে প্রথম এবং আইওএস-এর ক্ষেত্রে ডাউনলোডের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন ডাকডাকগো।
কিন্তু আচমকা ডাকডাকগোর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার কেন বেড়ে গেল সেই প্রসঙ্গে এখনও কোনও সঠিক জবাব পাননি কর্তৃপক্ষ। আপাতত সেই বিষয়েই সমীক্ষা চালাচ্ছে পেনসিলভ্যালিয়ার এই সংস্থা।
তবে সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সার্চ ইঞ্জিন আত্মপ্রকাশ হয়েছিল বছর তিনেক আগে। তখন থেকেই দেখা যায়, যখন অন্যান্য অ্যাপের প্রাইভেসি নিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছে, তখন ডাকডাকগোর ব্যবহার বেড়েছে। তবে বর্তমানে ডাকডাকগো কারা ব্যবহার করছেন সেটা এখনও ট্র্যাক করতে পারেনি কোম্পানি। সেই জন্যই অন্যান্য সংস্থার তুলনায় এই নতুন সার্চ ইঞ্জিন তাদের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে একটু কমই জানে।
তবে ইউজারদের ট্র্যাক করা না গেলেও তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত এবং গোপনীয় রাখা ডাকডাকগো সংস্থার মূলমন্ত্র। সেই জন্য চলতি বছরই সার্চ ইঞ্জিনে নতুন প্রাইভেসি প্রোটেকশন প্রোডাক্ট যুক্ত করতে চলেছে এই সংস্থা।
আগামীনিউজ/সোহেল