Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আকাশে নতুন তারা আবিস্কারের আশায় বিজ্ঞানীরা!


আগামী নিউজ | তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২১, ০৮:২৮ এএম
আকাশে নতুন তারা আবিস্কারের আশায় বিজ্ঞানীরা!

ঢাকাঃ আরও এক নতুন তারার জন্ম হতে চলেছে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে আকাশে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশে নতুন সেই নক্ষত্রের জন্ম দেখতে আকুল হয়ে অপেক্ষা করেছেন। নাসার হাবল টেলিস্কোপ তা সফলভাবে দেখাতে সক্ষম হবে বিজ্ঞানীদের। মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে অনেক কীর্তি স্থাপনের পর এবার নক্ষত্র আবিষ্কারও করে ফেলল নাসার টেলিস্কোপ।

হাবল টেলিস্কোপ হল মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন করার সবচেয়ে বড় উৎস। তা ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক হোল, নীহারিকা, গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেছে। এবার নক্ষত্র আবিষ্কার করে ফেলল হাবল টেলিস্কোপ। যখন মহাবিশ্বের প্রথম তারাগুলি আলোকিত হতে শুরু করেছিল, তা এতদিন দেখাতে পারেনি ওই টেলিস্কোপ। বিগ ব্যাংয়ের ঠিক পরের সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে হাবল টেলিস্কোপ নক্ষত্রের জন্ম দেখাতে সম্ভবপর হচ্ছে এবার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখন নতুন তারার প্রথম আলো দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এই ঘটনাকে মহাজাগতিক ভোর বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিগ ব্যাং এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গণনার ২৫০ বা ৩৫০ মিলিয়ন বছর পরে ঘটনাটি ঘটছে। বিগ ব্যাং-পরবর্তী এই প্রথম তারার জন্ম দেখাতে সক্ষম হবে হাবল টেলিস্কোপ। বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২২-এর এর প্রথম দিকে ওই নক্ষত্রের জন্ম দেখতে পাবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, এই বছরের শেষের দিকে চালু হওয়া জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সময় মতো পারমাণবিক সংশ্লেষণ দ্বারা পরিচালিত প্রথম তারাগুলির জন্মের সাথে মহাবিশ্বের সূচনার সাক্ষী থাকতে সক্ষম হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, মহাবিশ্ব প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে অস্তিত্ব নিয়ে এসেছিল একটি নক্ষত্রের। কিন্তু কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে এটি শান্ত এবং অন্ধকার থেকে যায়। হাইড্রোজেন গ্যাস মহাকর্ষের প্রভাবের সাথে একসাথে এত উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছেচিল যে, এটি ফিউশন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল এবং প্রথম তারা আমাদের সূর্যের মতো অস্তিত্ব নিয়ে এসেছিল।

রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিশগুলিতে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল বর্ণনা করেছেন কীভাবে তারা হাবল এবং স্পিজিটর দূরবীন থেকে ছয়টি দূরবর্তী ছায়াপথের পরীক্ষা করার জন্য চিত্র ব্যবহার করেছিলেন, যা মহাবিশ্বের বেশিরভাগ সময়কালকে আলোকিত করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, তারার জন্ম একটি সমন্বিত বিস্ফোরণের পরিবর্তে একের পর এক ক্রমান্বয়ে ঘটেছিল। আমরা ছয়টি ছায়াপথের দিকে তাকিয়েছিলাম, তার যুগগুলি কিছুটা আলাদা ছিল, তাই সেগুলি সমস্ত একসঙ্গে চালু হয়নি। জেমস ওয়েবের স্পেস টেলিস্কোপটি প্রবর্তনের অপেক্ষায় আমরা এখন অধীর আগ্রহে রয়েছি।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে