ঢাকাঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জনপ্রিয় ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন দিয়ে গাড়ি কেনা-বেচার সুযোগ বন্ধ করেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক।
বিবিসি জানিয়েছে, মাস্কের এমন টুইটের পর বৃহস্পতিবার মুদ্রাটির ১০ শতাংশ দরপতন হয়েছে। টেসলা মার্চে বিটকয়েন গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার পর পরিবেশবাদীরা সমালোচনা শুরু করেন।
তার এক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি জানায়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই ডিজিটাল মুদ্রার ১.৫ বিলিয়ন ডলার কিনে নিয়েছে তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসলো সংস্থাটি।
বিটকয়েন এমন একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা জটিল গাণিতিক হিসাব সমাধানের মাধ্যমে সংখ্যায় অর্জন করতে হয়। এই হিসাবের পদ্ধতির নাম মাইনিং। হাজার-হাজার মাইনার দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা উচ্চ-ক্ষমতার বিশেষ কম্পিউটারের মাধ্যমে মাইনিং করেন। প্রতিযোগীদের আগে কে কী পরিমাণ অর্থের বিটকয়েন তৈরি করতে পারেন, সেই লড়াই চলে তাদের। এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
এই প্রক্রিয়া অধিকাংশ সময় জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে কয়লা দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে।
মাস্ক টুইটে লিখেছেন, ‘বিটকয়েনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানী বিশেষ করে কয়লার ব্যবহার যেভাবে দ্রুত গতিতে বাড়ছে, তাতে আমরা শঙ্কিত।’
‘এই ধরনের মুদ্রা ভালো আইডিয়া…কিন্তু পরিবেশের জন্য মোটেও ভালো নয়।’
তিনি বলছেন, নিজের কোম্পানির অধীনে থাকা বিটকয়েনগুলো বিক্রি করবেন না। আরও টেকসই পদ্ধতিতে এনার্জি খরচ করে এর লেনদেন করা হবে।
বিটকয়েন মাইনারদের মধ্যে চীনাদের প্রভাব বেশি। পৃথিবীর ৭৫ শতাংশের বেশি বিটকয়েন মাইনিং হয় চীনে। বিটকয়েনের কারণে চীনে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয়, তা দেশটির দশটি বড় শহরের প্রায় সমান!
বৃষ্টির মৌসুমে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিটকয়েন মাইনাররা কয়লা দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অনেক বেশি ব্যবহার করেন।